বিদেশে পোস্ট গ্রাজুয়েশন – সম্ভাবনা ও বাস্তবতা

Published On: May 18, 2013By Tags: , , Views: 65

-আব্বু, দেশে থেকে আর কি হবে? বাইরে চলে যাও।

-বাবা, এই দেশের কোন ভবিষ্যত নাই। যত তাড়াতাড়ি দেশ ছাড়বে ততই নিজের জন্য ভালো।

-অমুকের ছেলে দেশের বাইরে গেলো মাত্র ৬ মাস। পড়াশোনাও করছে আবার গতমাস থেকে হাজার পঞ্চাশ করে টাকাও পাঠাচ্ছে। তুই ও চলে যা। এখানে থেকে কিছুই করতে পারবি না।

– এ্যাই শোনো না, আমি বলছিলাম কি তুমি ৫ বছরে মেডিকেল পাস করলে এখনো ১ বছর ইন্টার্ণি তারপর খুব অল্প বেতনের চাকরী। এমন হলে তো বাবা তোমার সাথে আমার এই সম্পর্ক কোনদিন মেনে নেবেন না। প্লিজ তুমি বাইরে চলে যাও। আমি অন্তত বাসায় বলতে পারব যে তুমি বাইরে পড়াশোনা করছো। যেভাবে পারো যাও প্লিজ।

উপরের কথাগুলো অনেকের জীবনে বাস্তব ডায়লগ হয়ে হয়তো উচ্চারিত হয়েছে আমাদেরই বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন কিংবা প্রেমিকার মুখে। বাংলাদেশে মেডিকেলের ছাত্র-ছাত্রী মাত্রই জানেন কত কেজি আটায় কয়টা রুটি হয়। নিজের ইচ্ছা থেকেই হোক কিংবা কাছের মানুষদের ইচ্ছা পূরণের জন্য হোক আমরা চিন্তা করি আমরা বাইরে পড়তে যাবো। অনেকেই স্বপ্ন দেখেন বাইরে পড়ালেখা করে নিজের মেধা দিয়ে অনেক উপরে উঠে যাবেন। অনেকেই ভাবেন ইশশ একটা স্কলারশিপ যদি পেতাম তাহলে কতই না ভালো হত। নানা ধরণের জীবন গঠনমূলক চিন্তাভাবনা প্রতিদিন আমাদেরকে আলোড়িত করে। খুব চমৎকার সেই সব স্বপ্ন দেখার সময় জীবন অনেক সুন্দর মনে হয়। তবে মেডিকেলের ছাত্রদের জন্য ব্যাপারটা অন্য আর দশটা সাবজেক্টের মত নয়। বেশ খানিকটা আলাদা। আর সেই আলাদা ব্যাপারগুলো নিয়ে খুব ভালোমত না ভাবলে কিন্তু পরে দেশের বাইরে আসার সিদ্ধান্ত নেবার জন্য হা-হুতাশ করতে হতে পারে। কাজেই সাধু সাবধান। খুব খিয়াল কৈরা মামা। পরে যেন আবার নাকের জল চোখের জল এক না হয়।

তাহলে চলুন দেখি- ভাবনা চিন্তার জগতে একটু নাড়া দিয়ে আসি।

কি পড়বেন??ঃ

এটা সবথেকে বড় প্রশ্ন। আপনি কি ক্লিনিক্যাল কোন সাবজেক্টে পড়তে আগ্রহী নাকি বেসিক (প্রি ও প্যারা ক্লিনিকাল) সাব্জেক্টে ক্যারিয়ার করবেন। আগে এই বিষয়টা খুব ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখেন। সাব্জেক্ট নির্বাচনে ভুল হলে কিন্তু এত পরিশ্রম ও অর্থ সবই পানিতে পরবে। নির্বাচনের ক্ষেত্রে আবার বিভিন্ন বিভাগের সাব ডিভিশনগুলোও মাথায় রাখতে হবে। যেমন যদি কেউ অনকোলজি নিয়ে পড়তে চান তাহলে মেডিকেল অনকোলজি, সার্জিক্যাল অনকোলজি ইত্যাদি অনেক বিষয়ই আছে। সাবজেক্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে অবশ্যই একটা ব্যাপার মাথায় রাখা উচিত যে সেই সাব্জেক্টের উপযোগীতা আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে কেমন। এমন বিষয়ে আপনি পড়াশোনা করে আসলেন যে বিষয় আমাদের দেশে এখনো ডেভেলপ করেনি তাহলে কিন্তু পরে মাথার চুল ছিড়তে ইচ্ছা করবে। তবে কেউ যদি সারাজীবনের জন্য বাইরে থাকতে চান তবে সেটা ভিন্ন বিষয়।

কোন ধরনের কোর্স করবেন?

এটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা প্রশ্ন। কোর্সের ব্যাপারে একটা কথা বলে রাখি যে যারা দেশে ফিরে আসতে চান তারা অবশ্যই মাথায় রাখবেন যে আপনি যে কোর্সে ভর্তি হতে যাচ্ছেন এবং কোর্স শেষে যে ড্রিগ্রি পাবেন সেই ড্রিগির ভ্যালুয়েশন বিএমডিসি দিচ্ছে কিনা। একটা উদাহরণ দিচ্ছি। আপনি যদি MSC করতে যান তাহলে সেই MSC ড্রিগ্রি নিয়ে এসে দেশের কোন মেডিকেল কলেজে যথাযথ সম্মান পাবেন কিনা সেটা একটা বড় প্রশ্ন।

২য় কথা হল ব্যাচেলর শেষ করে আপনি পরের ধাপে কি করতে চান? আপনার জন্য কয়েকটা অপশন খোলা।

১. MSC – Taught

২. MSC- Research যেটা হল MReS

৩. MPhil

তবে ব্যাচেলর শেষ করে MPhil করতে গেলে বেশ কিছুটা কাঠ-খড় পোড়াতে হতে পারে। সেই প্রসঙ্গে পরে আলোচনা করবো।

এইখানে বলে রাখা ভালো যে উপরের ড্রিগ্রিগুলো কিন্তু বেসিক বা ক্লিনিক্যাল দুই বিষয়েই করা যায়। তবে এই ড্রিগ্রিগুলো আমাদের MS, MD বা FCPS এর মত নয়। MS, MD কিংবা FCPS এর মত ফেলোশিপ বা ক্লিনিক্যাল ড্রিগ্রি করতে হলে ট্রাক হবে সম্পূর্ণ ভিন্ন। সেক্ষেত্রে আপনাকে করতে হবে MRCP, MRCS এবং পর্যায়ক্রমে FRCP, FRCS, FRCOG ইত্যাদি। এই ড্রিগ্রির জন্য কোন University তে পড়তে হয়না। এগুলো শুধু পরীক্ষায় পাশ করার মাধ্যমেই অর্জন করা যায় এই কথা তো আপনারা জানেনই।

লেখাটা যখন শুরু করেছিলাম তখন ইচ্ছা ছিল একবারে শেষ করার। কিন্তু এখন বাইরে যেতে হচ্ছে বলে শেষ করতে পারছি না। পরের দুটো পর্বের মধ্যে প্রাথমিক বিষয়গুলো সব আলোচনার মধ্যে আনতে পারবো বলে আশা করছি। আপাতত আপনি বিষয় এবং কোন ধরনের কোর্স করতে চান তা মনে মনে ঠিক করে ফেলুন। পরের আলোচনাগুলোতে বিভিন্ন দেশের University নির্বাচন, দেশ নির্বাচন, রিসার্চ, আবেদন করার পদ্ধতি, ফান্ডিং, স্কলারশিপ, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সাইটের লিংক এবং আরো বেশ কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলার ইচ্ছা আছে। সবকিছুই নির্ভর করছে আপনাদের লেখা কেমন লাগলো সেই মতামতের উপর। আশা করছি জানাবেন এখন পর্যন্ত কেমন লেগেছে।

কোর্স পছন্দের বিষয় নিয়ে আরো কিছু কথা না বললেই নয়। যারা রিসার্চ পছন্দ করেন তাদের জন্য MRes করাটাই সবথেকে ভালো হবে। আর যারা নিজেদের ব্যাচেলর পড়াটাকে আরেকটু ঝালিয়ে নিতে চান তাদের জন্য Msc. Taught কোর্স করাটা ভালো। কারণ হিসাবে অভিজ্ঞতা থেকে বলছি MBBS এ আমরা যা পড়েছি বা এখন আপনারা যা পড়ছেন বাইরের কোর্স ও কারিকুলাম সেটা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। সেই ভিন্নতার বিষয়ে আরো বিষদ বর্ণনা থাকবে পরবর্তী অংশে। এখনো আমরা বিষয় নির্ধারনের মধ্যেই আছি। এবার আসি MPhil এর বিষয়ে। আমাদের দেশের মত বাইরের দেশেও ব্যাচলরে ভালো রেজাল্ট থাকলে MPhil করা সম্ভব। তবে সেজন্য Project proposal লেখার উপর ভালো দখল থাকতে হবে সাথে সাথে সুপারভাইজারের পছন্দনীয় Statement of Porpose তো রয়েছেই। তবে বেসিক ভালো না থাকলে বা রিসার্চের ব্যাপারে সন্দেহ থাকলে MSc. আগে করাই বেশী উপকারী।

কোর্সের সময়ঃ

বাইরের দেশে আমাদের দেশের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ফুলটাইম কোর্স ছাড়া পার্ট টাইম কোর্সের সুযোগ নেই। সেক্ষেত্রে কোর্স ডিউরেশন হচ্ছে

MSc. Taught/research = 1 year

MPhil = 2 years

MSc. taught এর সাথে MSc. by research এর পার্থক্য হল Taught course এ গোড়া থেকে বিষয়ভিত্তিক আগের পড়াগুলো আবার ঝালাই করে নেয়া হয় সাথে দুই থেকে তিন মাসের একটা Project করতে হয়। আর MRes বা Msc. by research এ ক্লাশ করার কোন বালাই নেই। সুপারভাইজারের অধীনে ল্যাবে এক বছরের জন্য একটা নির্দিষ্ট বিষয়ে রিসার্চ করতে হবে। রিসার্চ শেষে থিসিস পেপার লিখতে হবে সাথে সাথে থিসিস ডিফেন্ড করতে হবে। এই ক্ষেত্রে আমাদের দেশের ছেলে মেয়েদের কিছু সমস্যায় পড়তে হয় শুরুর দিকে। যেমন আমরা থিওরিতে অনেকেই ভীষন ভালো। কিন্তু যখন প্রাক্টিক্যালের ব্যাপার আসে তখন আমরা অনেকেই হিমশিম খাই। কারণ আমাদের দেশে Practical খুব কম সময়ই ভালো করে হাতে কলমে করানো হয়। RT-PCR, gel electrophoresis, western blotting, SDS-page gel, ELISA, RNA/DNA extraction এ জাতীয় অনেক কিছু আছে যা বিদেশের জন্য ডাল-ভাত। কিন্তু আমাদের জন্য অনেককিছু। কাজেই ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।

আশাকরি এতক্ষনে কোর্স সম্পর্কে একটা ধারণা দিতে পেরেছি। ভাবা হয়ে গেছে নিশ্চয় যে আপনার জন্য ভালো হবে কোন কোর্সে গেলে। খুব ভালো কথা। এবার তাহলে চলেন দেখি পৃথিবীর কোন দেশ ভালো হবে পড়াশোনার জন্য।

দেশ নির্বাচনঃ

এখন আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলবো দেশ নির্বাচন নিয়ে। এই দেশ নির্বাচনের সাথে অনেক কিছুই জড়িত। চলুন কথা না বাড়িয়ে সামনে এগোই।

১. ব্যক্তিগত পছন্দঃ

অনেকেরই বিভিন্ন দেশের প্রতি ব্যক্তিগত পছন্দ থেকে থাকে। অনেকক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যরা একটি নির্দিষ্ট দেশকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। এখন আপনি কি করবেন? তার আগে আমি আপনাকে কিছু প্রশ্ন করি। উত্তর দিতে থাকুন। একসময় নিজেই বুঝতে পারবেন আপনাকে কোন দেশে যেতে হবে।

প্রশ্ন ১ – বাইরের দেশে বিশেষ করে ইউরোপে বা অস্ট্রেলিয়ায় কিংবা যে দেশে আপনি যেতে চাচ্ছেন সেই দেশে কি আপনার কোন রিলেটিভ আছেন যিনি প্রাথমিক অবস্থায় আপনাকে সাহায্য করতে পারবেন?

যদি উত্তর হ্যাঁ হয় তাহলে চট করে ভেবে দেখুন সেই দেশের সেই শহরে কোন University আছে কিনা যেখানে আপনি কোর্স করতে পারেন। এই চিন্তাটা কেন করবেন তা একটু পরেই বুঝতে পারবেন।

যদি উওর না হয় তাহলে আপনার জণ্য ঘানা যা, ইউকেও তাই। আপনার জণ্য সারাবিশ্ব খোলা।

প্রশ্ন ২- ব্যক্তিগত ইচ্ছা থেকে কোন দেশ আপনি পছন্দ করেন কি?

যদি করে থাকেন তাহলে কোন কথা না বাড়িয়ে প্রথমে সেই দেশের University গুলো খুঁজে বের করুন। কীভাবে করবেন। হুম। বলে দিব। একটু অপেক্ষা করে পড়তে থাকুন।

যদি কোন পছন্দ না থেকে থাকে তাহলে সবথেকে বেশী জোর দিন আপনার সাবজেক্টের উপরে কোন দেশে বেশী কাজ হচ্ছে তার উপরে। উদাহরণ দিচ্ছি। যদি আপনার কোন দেশ পছন্দ না থেকে থাকে এবং আপনি চাচ্ছেন আপনি Oncology নিয়ে কাজ করবেন। তাহলে চোখ বন্ধ করে Sweden এর Karolinisca Institute এর কথা ভাবতে পারেন।

প্রশ্ন ৩- আপনার পরিবার আপনার পড়াশোনার খরচ দেবে নাকি আপনি স্কলারশিপের জন্য চেষ্টা করবেন?

এই প্রশ্নের উত্তর দেবার সাথে সাথে অটোমেটিক কিছু দেশ আপনার লিস্ট থেকে আপনা আপনিই নাই হয়ে যাবে। যেমন ধরেন পরিবার কোন খরচ দেবে না আপনি স্কলারশিপ বা ফ্রি পড়তে চাচ্ছেন। তাহলে ইউকে, সুইডেন এবং অস্ট্রেলিয়াকে বাদ দিয়ে চিন্তা করেন।

এবার বলি ১ম প্রশ্নে রিলেটিভের কথা বলেছিলাম তার গুরুত্ব কি। ধরেন আপনার এক মামা সিডনিতে বাসা নিয়ে আছেন এবং তিনি প্রথম ৬ মাস আপনাকে তার বাসায় থাকতে দিতে পারবেন। তাহলে কোন ভাবনা চিন্তা না করে আগেই চলে যান University of Sydney এর অফিশিয়াল সাইটে। চোখ বুলিয়ে দেখে নিন পছন্দের সাব্জেক্ট আছে কিনা। যদি থাকে তাহলে খরচের সাথে মিলিয়ে দেখুন পারবেন কিনা। যদি সব মিলে যায় তাহলে আর দেরী না করে প্রস্তুতি নিয়ে ফেলুন।

২. রিসার্চ মূল্যঃ

যদি আপনার রিসার্চ করার প্রবল ইচ্ছা থাকে তাহলে ইউরোপ হবে সব থেকে ভালো ঠিকানা। অস্ট্রেলিয়াতে মেডিকেলের উপর রিসার্চ খুব বেশী University তে হয় না। USA এবং CANADA তে খরচ অত্যধিক বেশি। আর যদি GRE দিয়ে স্কলারশিপ নিয়ে যেতে পারেন তবে সেটা হলে USA কে চোখ বন্ধ করে বেছে নিতে পারেন। GRE নিয়ে আলোচনা আপাতত থাক।

৩. পার্ট টাইম কাজের সুবিধাঃ

অনেকেই আছেন যাদের পরিবার University এর পুরো খরচ কিংবা আংশিক খরচ দিয়ে পাঠাতে পারবেন এবং জীবন ধারণের খরচ কিংবা University এর বাকি খরচ আপনাকে যোগাড়া করতে হবে। এমন যদি হয় অবস্থা তাহলে কিন্তু ভাই চিন্তা-ভাবনা করার যথেষ্ট কারণ আছে। কেন বলছি? আমার নিজের কথাই বলি। বাবা-মা অনেক কষ্ট করে University এর পুরো কোর্স ফি এবং ৫ মাসের হোস্টেল খরচ দিয়ে ইউকে তে পাঠালেন। নিজের চলার জন্য বাকি খরচের টাকাটা আমার জব করে উপার্জনের কথা ছিল। বিশ্বাস করুন আমি প্রথম ৯ মাস রেগুলার পার্ট টাইম কোন জব পাইনি। প্রচন্ড কষ্ট করে আমাকে চলতে হয়েছে। এবং শেষে বাধ্য হয়েছি বাংলাদেশ থেকে টাকা নিতে এবং আপনি নিজেই খুব কষ্ট পাবেন যখন দেখবেন টাকার মূল্যমানে আপনি যে পরিমাণ পাউন্ড পাচ্ছেন তাতে একমাসের খরচ কোন মতে উঠানো যায়। সেজন্যই বলছি এখন ইউরোপের অবস্থা খুব একটা ভালো না। পার্ট টাইম কাজ পাওয়া খুবই কঠিন। আর পার্ট টাইম কাজ পেলেও তাতে ভালোভাবেই বেচে বর্তে থাকতে পারবেন কিন্তু University ফি বেশী বাকি থাকলে তা জমানো মুশকিল হবে। অস্ট্রেলিয়াতেও অবস্থা খুব একটা সুবিধার না। পুরো বিশ্বের ইকোনমিই তো এখন মন্দা। ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। তবে No risk no gain. হতাশ হবেন না।

দেশ পছন্দ করতে পেরেছেন কি?? যদি এখনো না পেরে থাকেন তবে দেশের বাইরে পড়াশোনা করছে এমন কারো সাথে পরিচয় থাকলে যোগাযোগ করে দেখতে পারেন। একটা কথা মনে রাখবেন ইনফরমেশন যত বেশি নিতে পারবেন সিদ্ধান্ত নেয়া তত সহজ হবে।

এখনকার মত আপাতত আপনি বিষয়, কোর্স আর দেশ ঠিক করে ফেলুন। এরপরে আরো কিছু জানার থাকলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

latest video

news via inbox

Nulla turp dis cursus. Integer liberos  euismod pretium faucibua

Leave A Comment

you might also like