বাঙ্গালীদের ট্রেন্ড
ধরেন আমাদের ক্রিকেটের গোল্ডেন জেনারেশনটা ছিল না। ধরেন সাকিব, তামিম, মুশফিক, রিয়াদ, মাশরাফি এরা ছিল না কিংবা এদের আজকের মত ব্রান্ড ভ্যালু নাই। এরা কেউ ডাবল হান্ড্রেড মারে নাই। এদের কারো ব্রেসলেটও নাই। এমন কিছু নাই যা দিয়ে এরা অডিয়েন্স টানতে পারে। ধরেন তখন আমাদের দেশে করোনা হানা দিল?? তো আপনারা যারা এতটাকা দিয়ে মাশরাফির ব্রেসলেট কিনলেন তখন তারা কী কিনতেন? কিংবা যেই ভাই সাকিবের ব্যাট কিনলেন তিনি তখন কার ব্যাট কিনতেন?
যা বলতে চাচ্ছি, সোজা বাংলায় বলি। দান করতে উছিলা লাগে না। কারো ব্যাট কিংবা কারো ব্রেসলেট কিনে আবার তাকেই ফেরত দিয়ে এই ভয়াবহ সময়ে বত্রিশ দাঁত বের করে হেসে হেসে ফটো সেশন করা লাগে না। এগুলো কর্পোরেট ধান্দাবাজি। জাতীয় দূর্যোগে আপনি দান করতে চান? আপনার এইধরণের অকশনের দরকার কী??? আপনি দান করেন। নিজে বেছে বেছে দান করেন। আপনার দান পাবার অধিকার সবার আগে আপনার পিছিয়ে পরা, অসুবিধায় থাকা, ঋণ জর্জরিত আত্মীয়ের। এরপর হক আপনার প্রতিবেশির। এরপর এলাকার মানুষজন।
এইসব কিছু না করে আপনি অপেক্ষা করছেন কখন একটা কর্পোরেট ইভেন্ট আসবে যেখানে ক্রিকেটারদের ব্যাট-ব্রেসলেট, কিংবা প্রয়াত নায়কের চশমা বিক্রি হবে। ইসলাম ধর্মে সেই দানকেই সার্থক বলা হয়েছে যে দানে বাম হাত জানে না ডান হাত কী দান করছে।
প্রচলিত ট্রেন্ডের বিরুদ্ধে লেখার অনেক প্যারা। অনেকেই হয়তো বলবেন “সমস্যা কী ভাই? এত টাকা উঠছে। মানুষের উপকার হচ্ছে হোক না।” ভাই সমস্যা কিছুই না। সমস্যা হবে কখন জানেন যখন আবার একটা জাতীয় দূর্যোগে সবাই অপেক্ষা করবে কখন একটা অকশন আসবে আর আমরা নিজেদের প্রচারের সুযোগ পাবো – এই আশায় বসে থাকবে।
বাঙ্গালীদের জন্য ট্রেন্ড খুব খারাপ জিনিস। আমি এই অকশনটা মন থেকে সমর্থন করতাম যদি এখানে পরিচয় গোপন রাখার ব্যবস্থা থাকতো। শুধু যদি এমন হত যে সাকিব, মুশফিক ব্যাট দিয়ে দিল। ব্যাট বিক্রি হল, টাকাও চলে আসলো কিন্তু কে কিনলো সেই পরিচয় গোপন থাকলো।
কনফিডেন্সের সাথে বলতে পারি আপনি তখন আর বর্তমানের দানবীরদের খুঁজে পেতেন না।
মার্কেটিং ফ্লেভারে আর যাই হোক অর্থবহ প্রকৃত দান হয় না। সেটাতে বরকত থাকে কী না সেটাও প্রশ্ন সাপেক্ষ।
editor's pick
latest video
news via inbox
Nulla turp dis cursus. Integer liberos euismod pretium faucibua