নোটিশ মন্ত্রনালয়

Published On: March 25, 2020By Tags: , , Views: 63

নেতৃত্ব সামনে থেকে দিতে হয়। বঙ্গবন্ধু যদি চার দেয়ালের ভিতরে থেকে ৩৭ জন পিছনে রেখে গাল ভরা কিছু বুলি আওড়ে যেতেন তাহলে আর যাইহোক ২৬শে মার্চ আসতো না। তিনি রাজপথে ছিলেন, মাঠে-ঘাটে, মঞ্চে-মাইকের সামনে পিছনে, কারাগারে, আলোচনার টেবিলে – কোথায় ছিলেন না? তার সিনিয়র নেতা, পাতি নেতা, সামান্য কর্মী সবার জন্যই দরদ ছিল। সবাইকেই আপন ভাবতেন। সবাইকেই ভাই বলে মনে করতেন। এই গুনটাকে বলে Own করা। একটা সিস্টেমকে, সেই সিস্টেমের প্রতিটি অংশকে নিজের মনে করতে হয়। না হলে সিস্টেম ঠিক ভাবে কাজ করবে না। যিনি নেতা তাকে সবকিছুই পারতে হবে। অল্প-বেশী সব ব্যাপারেই একটা ধারণা থাকতে হবে।

নন-মেডিকেল পারসনরা এডমিনিস্ট্রেশন কেমন চালান তারচেয়ে বেশী দেখা দরকার তারা যে মেডিকেল সিস্টেমটা চালাবেন সেই সম্পর্কে তাদের ধারণা কতটুকু। যদি অজ্ঞ হন তখন বলবেন “ডাক্তারদের পিপিই লাগবে না।” নির্দেশ জারি করবেন “পিপিই ছাড়া সবাইকেই চিকিৎসা দিতে হবে”।

আজ করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধের কথা বলছেন। সৈন্যগুলোকে মরতে দিয়ে নিজেরা এসির বাতাসে বসে হাওয়া খাচ্ছেন। আবার নিজেদেরকে বঙ্গবন্ধুর সৈনিক দাবী করছেন। তার নাম বেঁচে নিজেদের আখের গুছাচ্ছেন।

সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। প্রতিটি হাসপাতালে ভিজিট করেন। আউটডোরে পিপিই ছাড়া রোগীর ভীড়ের মাঝে দাঁড়িয়ে দেখেন চিকিৎসকরা কীভাবে অবহেলা করছে। আপনার মন্ত্রনালয়ের রথী-মহারথীদের রথ বের করতে বলেন। ফিল্ডে আসেন স্যার। ফিল্ডে আসেন।

সিস্টেম সম্পর্কে ধারণা নাই।

ফিল্ডে আসার নাম নাই

স্ট্রাটেজি কী হবে তার ব্যাপারে বিন্দুমাত্র হোম ওয়ার্ক নাই।

এত নাই-এর মাঝে আছে শুধু নোটিশ।

সরকারের একটা মন্ত্রনালয় থাকা উচিত যার নাম হবে নোটিশ মন্ত্রনালয়। আর তার মন্ত্রী হবেন “যার নাম বললে রেজিঃ থাকবে না”।

latest video

news via inbox

Nulla turp dis cursus. Integer liberos  euismod pretium faucibua

Leave A Comment