একটি মধুর মিথ্যা
‘আচ্ছা তুমি মিথ্যা কথা বললে কেনো?’ ভ্রু কুঁচকে কোমরে হাত দিয়ে জিজ্ঞেস করে নীলা। ঠোঁটে যদিও মুচকি হাসি লেগে আছে তবুও রাজীব জানে নীলা যথেষ্ট সিরিয়াস। নিজেকে যতটা সম্ভব শান্ত রেখে বলে- ‘দেখো বৃহৎ স্বার্থের জন্য ক্ষুদ্র মিথ্যায় জাতির ও এই সংসারের কোন ক্ষতি তো হচ্ছে না’।
-‘তারপরও এটা আমার আত্নসম্মানের ব্যাপার’।
-‘দেখো আমি যা করেছি বুঝে শুনেই করেছি’।
-‘তুমি আমাকে আমার কাছে ছোট করেছো’। নীলার কন্ঠে হতাশা।
-‘যা বুঝো না তা বলো না’। বিরক্তি নিয়ে বলে রাজীব।
-‘তুমি আমাকে আগে বলতে পারতে’।
-‘আগে বললে তো তুমি আমাকে এটা করতেই দিতে না’।
[পাঠক কেনো এই ঝগড়া আর রাজীব কি করেছে সেটা জানতে চলুন ওদের বেড রুমে রেখে আমরা একটু ঘুরে আসি তিন বছর আগের অতীতে।]
তিন বছর আগে কোন এক বর্ষন মুখর সন্ধ্যায় ফেসবুকে পরিচয় রাজীব আর নীলার। প্রথম দিকে হাই, হ্যালো, কেমন চলছে, ভালো-তেই শেষ হত কথা। আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে শব্দের পরিমাণ, কমতে থাকে চোখের ঘুম। কি বোর্ডের অক্ষর গুলো যতদিনে মুছে যায় ততদিনে দু’জনের মনে ভালোলাগার অনুভূতি স্পষ্ট ভাবে তার জায়গা করে নিয়েছে।
প্রতিদিনের মত সেদিনও ওরা চ্যাট করছিলো।
রাজীবঃ ‘কি ব্যাপার? আজ তুমি কথা এত কম বলছো কেন?’
নীলাঃ ‘না তেমন কিছু না। ভালো লাগছে না’।
রাজীবঃ ‘মন খারাপ? কেন?’
নীলাঃ ‘জানি না’।
রাজীবঃ ‘বলো। বলে ফেলো। কিছুই বাদ দিবে না’।
নীলাঃ ‘আচ্ছা আমি যদি তোমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেই। খুব কষ্ট পাবে?’
রাজীবঃ ‘না। একদম না। কষ্ট পাব কেনো? খুবই আনন্দ হবে। ব্যাপক আনন্দ। রাতের ঘুম অন্তত ঠিক মত হবে’।
নীলাঃ ‘সিরিয়াসলি বলো। আমি কিন্তু সিরিয়াস’।
রাজীবঃ ‘তোমার কি মনে হয়? আমার কেমন লাগতে পারে?’
নীলাঃ ‘আমি কিছুই বলতে চাই না। যা বলার একটু পরে বলবো। এখন আমি যা জিজ্ঞেস করলাম তার উত্তর দাও’।
রাজীবঃ ‘এত দিনে যদি তুমি এটুকু না বুঝো তাহলে আমার কিছুই বলার নেই। একটা মানুষ রাতের পর রাত জেগে তোমার সাথে কথা বলছে, নির্ঘুম রাত কাটিয়ে ঢুলু ঢুলু চোখে অফিসে যেয়ে বসের বকা খাচ্ছে। কিসের নেশায়? সব কিছু কি বলে বুঝাতে হয়?’
নীলাঃ ‘এটাই তো আমার ভয়। এজন্যই তো আমি আজ কথা বন্ধ করার প্রসঙ্গ তুললাম। আমি বুঝতে পারছিলাম। আর যেদিন থেকে বুঝতে পারছিলাম সেদিন থেকেই চাচ্ছিলাম আজকের কথা গুলো বলতে। নিজের সাথে অনেক যুদ্ধ করে আজ আমি সেই শক্তি অর্জন করেছি’।
রাজীবঃ ‘একটা কথা জিজ্ঞেস করি?’
নীলাঃ ‘হুমমম’।
রাজীবঃ ‘আমাকে কি তোমার পছন্দ নয়?’
নীলাঃ ‘সত্যি বলব?’
রাজীবঃ ‘অবশ্যই’।
নীলাঃ ‘আমি তোমাকে অনেক পছন্দ করি। ভালোলাগা যদি এর থেকে বেড়ে যায় তো আমি আর নিজেকে ফেরাতে পারব না। তুমি ভাল এবং অনেক যোগ্য। সমস্যা তোমার না, আমার। আমার কারনেই আমি সরে যেতে চাই তোমার জীবন থেকে। কারণ তুমি অনেক ভালো কিছুর যোগ্য’।
রাজীবঃ ‘তোমার সমস্যাটা কি জানতে পারি?’
নীলাঃ ‘পারো। আমার সমস্যা আমার শারীরিক অক্ষমতা। আমি———-আমি’
রাজীবঃ ‘কি? তুমি কি?’
নীলাঃ ‘আমি কখনো মা হতে পারবো না। আমি কখনো মাতৃত্বের স্বাদ উপলব্ধি করতে পারব না রাজীব। এটা যে কতটা কষ্টের তা একজন মেয়ে ছাড়া কেউ বুঝবে না’।
রাজীবঃ ‘হুমম। বুঝলাম। কিন্তু সমস্যাটা কি তোমার? মানে শারীরিক সমস্যাটা কি?’
নীলাঃ ‘ভার্সিটির সেকেন্ড ইয়ারে আমার জরায়ুতে টিউমার ধরা পরে। যখন ধরা পরে তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিলো। অপারেশন করে পুরো জরায়ু ফেলে দিতে হয়েছিল’।
রাজীবঃ ‘এখন কি তুমি সুস্থ্য?’
নীলাঃ ‘শারীরিক ভাবে। কিন্তু মানসিক কষ্টের কোন সীমা-পরিসীমা নেই। যখন কোন ছোট্ট বাচ্চা দেখি মনটা হু হু করে ওঠে। খুব খারাপ লাগে’।
রাজীবঃ ‘তুমি কি কাল একবার আমার সাথে দেখা করতে পারবা?’
নীলাঃ ‘কেন? দেখা করে কি হবে?’
রাজীবঃ ‘তুমি তো আর যোগাযোগ রাখতেই চাচ্ছো না। তাই অন্তত একবার সামনাসামনি কথা বলতে চাই। তোমার প্রিয় ডিংগী রেস্টুরেন্টে। বিকাল ৫ টায়’।
নীলাঃ ‘আচ্ছা ঠিক আছে। এখন তাহলে যাই। তুমি ঘুমাও’।
রাজীবঃ ‘ভালো থেকো সবসময়’।
নীলাঃ ‘তুমিও’।
পরের দিন ওরা সময়মত ডিঙ্গী তে আসে। পড়ন্ত বিকেলের লাল আভায় রক্তিম প্রকৃতি হাসছে। কিন্তু ওদের মনকে স্পর্শ করতে পারছে না কোন কিছুই। ওরা একটা প্যাডেল বোট ভাড়া করে ভেসে যায় লেকের জলে।
রাজীবঃ ‘কেমন লাগছে?’
নীলাঃ ‘ভালো’।
রাজীবঃ ‘তুমি তো তোমার ফেসবুকের ছবির চেয়েও সুন্দর’।
নীলাঃ ‘আর তুমি তোমার ছবির চেয়ে বেশী মোটা’।
দু’জনেই শব্দ করে হেসে ওঠে। তারপর আবার নিরবতা। গম্ভীর গলায় নিরবতা ভেঙে রাজীব বলে-‘এই যে আমাদের আনন্দ, আমাদের হাসি, আমাদের কথামালা সব কিছুই তো অর্থহীন হয়ে যাবে আজকের পর। তাইনা?’
নীলাঃ ‘প্লিজ রাজীব, আমাকে দূর্বল করোনা’।
রাজীবঃ ‘আচ্ছা ধরো এই সমস্যাটা যদি আমার থাকতো? তুমি কি করতে? আমাকে ছেড়ে চলে যেতে? অথবা ধরো আমাদের কারও কোন সমস্যা নাই। কিন্তু তারপরও আমাদের ঘর আলো করে যদি কোন সন্তান না আসতো? তখন??’
নীলাঃ ‘কিন্তু এখন তো আমি জানি। আমি নিজেকে কিভাবে ক্ষমা করবো?’
রাজীবঃ ‘কোন অপরাধের জন্য ক্ষমার কথা বলছো?’
নীলাঃ ‘আমার সাথে যার বিয়ে হবে তাকে কোন সন্তান দিতে না পারার অপরাধের জন্য’।
রাজীবঃ ‘আমার চোখে তো তুমি অপরাধী নও। তুমি দূর্ভাগ্যের শিকার। আর সেটা যদি আমি মেনে নিই তো তোমার কিছু বলার আছে?’
নীলা অবাক চোখে তাকিয়ে থাকে রাজীবের দিকে। কি বলছে ও? এটা কিভাবে সম্ভব? হঠাৎ একটা দমকা হাওয়া ওকে বাস্তবে ফিরিয়ে আনে।
নীলাঃ ‘এটা তোমার এখনকার আবেগের কথা। ঠিকই একটা সময় তুমি অস্থির হবে’।
রাজীবঃ ‘যদি প্রতিজ্ঞা করি কখনো এই ব্যাপারে কিছু বলবো না তোমাকে। যদি বলি আজ, এই মুহুর্তে তোমাকে বিয়ে করতে চাই, রাজী হবে?’
নীলাঃ ‘পাগলের মত কথা বলছো কেন? আমি তোমাকে কিছুই দিতে পারবো না। কিছুই না’।
শেষের দিকে নীলার গলা ধরে আসে। রাজীব হঠাৎ নীলার হাতটা নিজের হাতে নিয়ে বলে-
রাজীবঃ ‘ভালোবাসা দিতে পারবে? নিজেকে উজাড় করে, সত্যিকারের ভালোবাসা কে স্বপ্নের রঙে রাঙিয়ে?’
নীলাঃ ‘শুধু ভালোবাসা দিয়ে কি হয়?’
রাজীবঃ ‘ভালোবাসা দিয়ে সব হয়। জীবনের অপ্রাপ্তির খাতাটা বন্ধ হয়। ভালোবাসা দিয়ে কাটানো যায় অসম্ভব সুন্দর কিছু মুহুর্ত। যার জন্য মানুষ তপ্যসা করে যুগের পর যুগ। ভালোবাসা দিয়ে সাজানো যায়’ –
রাজীবের কথা শেষ হবার আগেই নৌকাটা একদিকে কাত হয়ে যায়। নীলা ‘ও মা-গো’ বলে রাজীবের হাত খামচে ধরে।
নীলাঃ ‘একটু হলেই তো’-
রাজীবঃ ‘দেখলে, ভালোবাসা হল নির্ভরতার অন্য নাম’।
নীলাঃ ‘বুঝলাম। কিন্তু তোমার পরিবার? সমাজ?’
রাজীবঃ ‘তুমি আগে বল আমি যদি সব ম্যানেজ করতে পারি তুমি আমার হাতটা এভাবে ধরে থাকবে সবসময়? অবশ্য যতটা জোরে এখন ধরে আছো ততটা জোরে নয়। আর একটু ঢিল করে’।
নীলাঃ ‘ওহ স্যরি। আমি আসলে- — বেশী ব্যাথা পেয়েছো?’
রাজীবঃ ‘আজকের জন্য ঠিক আছে। কিন্তু সারা জীবন এত ব্যাথা সহ্য করতে পারবনা’।
নীলাঃ ‘ওরে আমার বীর পুরুষ! এই ক্ষমতা নিয়ে উনি আবার ফ্যামিলি ম্যানেজ করবেন’।
রাজীবঃ ‘হুমম করবো। কিন্তু একটা শর্ত আছে’।
নীলাঃ ‘কি শর্ত?’
রাজীবঃ ‘তোমার ব্যাপারটা তুমি আর কোনদিন কারও সাথে আলোচনা করতে পারবে না। আমার পরিবারের সাথে তো নয়ই। আমারটা আমাকে দেখতে দাও। তোমার পরিবার ও যেনো এটা নিয়ে কোন কথা না বলে’।
নীলাঃ ‘আমি আমার পরিবার কে বলব’।
হঠাৎ ভরা গলায় রাজীব আবৃত্তি করে –
‘হে দেবী,
তোমার মুগ্ধ প্রতিমার সামনে দাঁড়িয়ে,
হাত ভরা আমার ভালবাসার অঞ্জলি,
পূজার অর্ঘ্য হয়ে,
দিতে চায় প্রাণ তব পাষাণ হৃদয়ে।
মুছে যাক গ্লানি যত, সকল হৃদয় ক্ষত,
মনের মন্দিরে জ্বলে উঠুক প্রেমের শিখা।
দাবানলের রূপে ছায়,
সকলি পুড়ে ছাই,
বেঁচে থাকে তবুও আজ ভালোবাসার কবিতা।
তোমার হাতে দিলাম তুলে, আমার সুখের চাবি।
তোমার চোখের স্বপ্ন কাজলে লেখা হোক,
আমার ভালবাসার নিয়তি’।।
সন্ধ্যার স্নিগ্ধতা ছুঁয়ে যায় ওদের আবেগ। স্বপ্নেরা হেসে ওঠে দু’জনের চোখের তাঁরায় ঐ দূর আকাশের সন্ধ্যা তারার উজ্জলতা নিয়ে।
এরপরের সময় গুলো পার হয়ে যায় অসম্ভব দ্রুততায়। বিয়ের পরে ভালোই চলছিল ওদের সংসার। সমস্যা শুরু হয় পরিবারের বাইরে থেকে। রাজীবের আত্নীয়-স্বজনরা তার মায়ের কাছে ইনিয়ে বিনিয়ে নাতি-নাতনির কথা তোলা শুরু করে। শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে উনি একদিন খাবার টেবিলে রাজীব কে উদ্দেশ্য করে বলেই ফেললেন –‘বাবা বয়সতো হয়ে যাচ্ছে। এখনো বাচ্চাদের কাঁথা সেলাই করতে পারি। কয়দিন পরতো আর তাও পারবো না’।
রাজীব সাথে সাথেই বুঝল কথা কোন প্রসঙ্গে হচ্ছে। নীলার দিকে তাকিয়ে দেখলো ও শক্ত কাঠ হয়ে বসে আছে। ওর হাত থেমে আছে। হঠাৎ যেন কিছুই হয়নি এমন একটা ভঙ্গিতে জোর গলায় সে বলে উঠলো – ‘জ্বী মা। তুমি ঠিকই বলেছ। নীলাও চাচ্ছে। আমি আগে থেকেই চাচ্ছিলাম। অনেক দিন থেকে চেষ্টাও করছি। কিন্তু সমস্যাটা যে কার এখনো বুঝতে পারছি না। কাল ডাক্তারের রিপোর্ট দেবার কথা। আমরা দু’জনেই সব টেস্ট করেছি। কাল বুঝা যাবে, কি সমস্যা কার সমস্যা। এরপর তোমাকে জানাবো’।
নীলা বিস্ফোরিত চোখে রাজীবের দিকে তাকিয়ে আছে। ওর মা ভ্রু কুঁচকে বললেন – ‘এটা কেমন কথা? আগে বলিস নি কেন?’
রাজীবঃ ‘আগে যেহেতু নিশ্চিত ছিলাম না যে সমস্যা আছে তাই তোমাকে টেনশনে রাখতে চাইনি’।
মাঃ ‘বৌমা-র সমস্যা আছে নাকি?’
রাজীবঃ ‘মা খাওয়াটা শেষ করতে দাও। এটা নিয়ে আমরাও টেনশনে আছি। কাল সব জানতে পারবে’।
প্রিয় পাঠক আজ হল সেই দিন। একটু আগে মানে ওদের ঝগড়া শুরু হবার আগে রাজীব ওর মা’কে ব্যাপারটা বলার জন্য ডেকে এনেছিল। খুব গম্ভীর গলায় বলেছিল- ‘মা, আজ রিপোর্ট আনলাম’।
মাঃ ‘কি বললো ডাক্তার?’
রাজীবঃ ‘মা, সমস্যাটা নীলার না। সমস্যাটা আমার’।
মাঃ ‘কী?? তোর সমস্যা??? তোর কি সমস্যা? ছেলেদের আবার সমস্যা থাকে নাকি?’
রাজীবঃ ‘থাকে মা, থাকে। সন্তান না হবার দায় শুধু মেয়েদের একক সম্পত্তি না। অতীত কাল থেকে চলে আসা এই ভুল ধারনা নিয়ে আর পরে থেকো না’।
খুবই গম্ভীর গলায় মা জিজ্ঞেস করলেন- ‘তো ডাক্তার তোর কি সমস্যার কথা বললো?’
নীলা হা করে অপলক রাজীবের অভিনয় দেখছে। মানুষটা কেমন চোখ মুখ শক্ত করে অবলীলায় মিথ্যা কথা বলে যাচ্ছে। ওর চোখের কোনাটা যে শিরশির করছে তা সে বুঝতে পারছে।
রাজীব বলে যাচ্ছে- ‘ছোট বেলায় আমার যে পরপর ২ বার মাম্পস হয়েছিল মনে আছে তোমার? অনেক কষ্ট হয়েছিল আমার। মাম্পস এর একটা সাইড এফেক্ট এ আমার এই সমস্যা হয়েছে’।
মা ধরা গলায় বললেন – ‘কোন ওষুধ নাই? কোন উপায় নাই?’
রাজীবঃ ‘ডাক্তার তো বললেন চেষ্টা করতে আর তোমাকে দোয়া করতে। দেখা যাক’।
কিছুক্ষন পর মা ধীরে ধীরে উঠে চলে গেলেন। এরপর শুরু হল ওদের ঝগড়া।
[পাঠক চলুন ঝগড়ার শেষ অংশটা দেখে নিই]
নীলাঃ ‘যাই বল এটা ঠিক হয়নি’।
রাজীবঃ ‘আমি তোমাকে কোন কষ্টের মাঝে ফেলতে পারব না। আমার পরিবার আমাকে কিছু বলবেনা। সন্তান খোঁড়া, কানা হলেও মা তাকে ঠিকই ভালবাসেন। তাই না?’
নীলাঃ ‘তুমি—- তুমি এত ভালো কেন?’
রাজীবঃ ‘আমার পূর্বে আসা পুরুষ প্রজাতির অনেকেই যে খারাপ ছিলেন। সেই সুদূর অতীত থেকে সন্তান না হবার অপবাদে কত নারীকেই তো কত অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে। মিথ্যা অপবাদ মাথায় পেতে নিতে হয়েছে। আজ আমার এই মিথ্যাটাতে যদি পুরুষ প্রজাতির পাপ একটু খানি হলেও মোচন হয় ক্ষতি কি?’
editor's pick
latest video
news via inbox
Nulla turp dis cursus. Integer liberos euismod pretium faucibua